বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা বেতাগীতে বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় বেতাগী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ শেষে উপজেলা পরিষদের আশেপাশের এলাকা জুড়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার পর পৌর শহরে পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং নৌ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
হামলার বিষয়টি বিএনপির এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে দায়ী করছেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছেন। নাম না প্রকাশের শর্তে তৃণমূলের বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা বলেন, দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগেও দলীয় বিভিন্ন কার্যক্রম ভিন্ন ভিন্নভাবে পরিচালিত করত বলে নেতাকর্মীরা উল্লেখ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বেতাগী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ শেষে উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মো. হুমায়ুন কবির মল্লিক ও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. সোয়েব কবিরের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মুহূর্তের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র রানদা, বগি দা, চ্যানা, লোহার রড, পাইপ, লাঠিসোটাসহ হামলায় লিপ্ত হয়। এসময় এক গ্রুপকে ধাওয়া করে এবং মুহূর্তের মধ্যে অন্য গ্রুপ এসে পাল্টা ধাওয়া করে এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
আধা ঘণ্টাব্যাপি এই সংঘর্ষ চলে এবং রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক হুমায়ুন কবির মল্লিক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সোয়েব কবির, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল খানসহ দুই গ্রুপের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে থানা পুলিশের এস আই এমাদুল, এএসআই জাহিদুল ও একজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছে।