ইমান আলী, স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান দাবি করেছেন, ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন খুনী হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু নেতা এই হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করেছেন, সেনাবাহিনীর বেশ কিছু কর্মকর্তার ভূমিকা ছিল সন্দেহজনক, এবং পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিল দেশের কিছু বিশ্বাসঘাতক ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।
তিনি আরও বলেন, "লেবার পার্টি ও ছাত্রমিশন ২০১০ সাল থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ও সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই দিনকে স্বীকৃতি দেওয়ায় আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।"
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে লেবার পার্টির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় শহীদ সেনা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. ইরান অভিযোগ করেন, "পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতাতেই ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, ভোটারবিহীন নির্বাচন, বিচারব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থার ধ্বংস, দুর্নীতির বিস্তার, গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। এ ঘটনায় অনেকে চাকরি হারিয়েছেন, অনেকের পদোন্নতি আটকে গেছে। যদি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা না হয়, তবে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন স্বাধীনতা মুখ থুবড়ে পড়বে।"
সভায় মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই বলেন, "পিলখানায় যা ঘটেছিল, তা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। ২০০০ সালের দিকে কুড়িগ্রামের বড়ইবাড়ি সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ও তৎকালীন বিডিআরের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সময় প্রতিবেশী দেশ নানা হুমকি দিয়েছিল, এমনকি পিলখানা উড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল। বিএসএফ সেই সংঘর্ষে পরাজিত হয়েছিল, আর তার প্রতিশোধ হিসেবেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন।"
ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সদস্য সচিব মো. জাহিদুর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব মো. হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, দফতর সম্পাদক মো. মিরাজ খান, মহানগর নেতা তারেক আজিজ, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম মামুন ও মহানগর লেবার পার্টির নেতা এনামুল হক প্রমুখ।