সংবাদদাতা : গোলাম মুস্তফা
স্বৈরাচার হাসিনা পতনের পর এখনো দেশের মাদরাসা সেক্টর স্বৈরাচার মুক্ত হয়নি। নীতি নির্ধারকের চেয়ারগুলো তাদের দখলে। মসজিদ-মাদ্রাসা পুঁজি করে সাধারণ মুসল্লীদের ধোঁকা দিয়ে গিয়েছে দিনের পর দিন। বারবার আলোচনা, লেখালেখির কবলে পড়লেও দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে নানান ইস্যু। ফলে তারা বেঁচে যাচ্ছে নিমিষেই। পথের কাঁটা হয়ে থাকা প্রতিপক্ষদের সরিয়ে এসলাহের নামে টাকা খাওয়ার ব্যবসা করে বসেছে এই পীর খ্যাত আওয়ামী হুজুররা। আন্দোলন, সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার পরও নিস্তার পেয়ে গিয়েছে তারা। প্রতিপক্ষের দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে বহিষ্কারের হুমকি-ধমকি, শিক্ষকদের বেয়াদব ট্যাগ লাগানোর ভয় এবং কলিগদের চাকরিচ্যুত করার টালবাহানা দেখিয়ে ইনিয়েবিনিয়ে আজও ফ্যাসিবাদ রিজিমের অনুসারী তারা। তাদের ওপর ভর করে হাসিনা টিকে ছিল দীর্ঘ ষোলোটা বছর। সরকারি হজ্জ সহ আওয়ামী সুবিধা দিয়ে কিনে নিয়েছিলো এই কথিত শায়খ ও পীরদের। হাসিনা সরকারের মতের বিরোধ ছিল বলে সত্যের অনুসারী উলামাদের জেলে ভরে আওয়ামী পূজারী আলেমদেরকে রাজকীয় আসনে ঢেলে সাজিয়েছিল ফ্যাসিস্ট শক্তি। আজ সেই শক্তি বিলুপ্ত হলেও আওয়ামী হুজুররা রয়ে গেছে স্ব স্ব স্থানে। নেটিজনদের আশঙ্কা, তারা মনে করেন যদি এখনই তাদেরকে অপসারণ ও বিচারের কাঠগড়ায় আনা না হয় তাহলে খুব বেশি দূরে নয়, এই আওয়ামী হুজুরদের হাত ধরেই হাসিনা আবার ফিরে আসতে চেষ্টা করবে।