ইমান আলী, স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা
কথায় আছে,
“যে জাতি তার ইতিহাস ভুলে যায়, সে জাতিকে বারবার আত্মসমর্পণ করতে হয়।”
ঢাকা, সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ : বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, পলাশীর শিক্ষা নিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ২৩ জুন ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধ বাংলার রাজনৈতিক পতন এবং উপনিবেশিক দাসত্বের সূচনা। আজও সেই ষড়যন্ত্রের উত্তরসূরিরা আধুনিক রূপে জাতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। পলাশীর শিক্ষা হলো—বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
তিনি আজ (সোমবার) ২৩ জুন বিকাল ৩টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে ঐতিহাসিক পলাশী ট্রাজেডি দিবসে ঢাকা মহানগর লেবার পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শাসনামল সেই আধুনিক পলাশী ষড়যন্ত্রেরই ধারাবাহিক রূপ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারতীয় আগ্রাসন, বিচারহীনতা, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ ও ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে দেশকে পরাধীনতার নতুন জালে আবদ্ধ করা হয়েছে। আজও মীরজাফরের চেতনায় দালাল গোষ্ঠী জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হরণে লিপ্ত।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এখন সময় এসেছে পলাশীর শিক্ষা ধারণ করে, জাতীয় স্বার্থে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার। বাংলাদেশ লেবার পার্টি সেই সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক মোঃ মিরাজ খান, মহানগর লেবার পার্টির সহ সভাপতি মোঃ মাসুদ আলম পাটোয়ারী, ডাঃ ইউসুফ উল্লাহ পাটোয়ারী, শ্রম সম্পাদক এনামুল হক আকন্দ ও বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।
এডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই বলেন, “২৩ জুন শুধু ইতিহাস নয়, এটি একটি জাতীয় চেতনার দিন। এই দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে—ফের যেন পলাশীর মতো বিশ্বাসঘাতকতা না ঘটে। জাতীয় ঐক্য, আদর্শিক দৃঢ়তা ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থাই পারে বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ থেকে রক্ষা করতে।”
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী দিনে “ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ” গঠনে লেবার পার্টির নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ আন্দোলন তীব্রতর করা হবে এবং পলাশীর শিক্ষা তুলে ধরে জাতীয় চেতনায় রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।