মোঃ শেখ ফরিদ, স্টাফ রিপোর্টার
বেশ কিছুদিন ধরে হোসেনাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধান এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার বানোয়াট নিউজ প্রকাশ করে শুধু ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এবং ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ এর মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মাদ্রাসা সুপার মোছাঃ রৌশনআরা। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি পাচ্ছি। গতকাল (১৮ নভেম্বর) পরিচিত একজনের মাধ্যমে জানতে পারি আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সোস্যাল মিডিয়ায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার কাছ থেকে ঐ নিউজের লিংক সংগ্রহ করি। নিউজটা পড়ে বুঝতে পারি সেখানে উল্লেখিত বিষয় সমূহ সম্পুর্ন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ এর মধ্য দিয়ে নিয়ম অনুযায়ী মাদ্রাসার সুপার পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়। নিয়োগ প্রত্যাশীদের মধ্যে আমি একজন ছিলাম। নিয়োগ বোর্ডের যাচাই-বাছাই ও সকল প্রকার যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আমি নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পালন করছি। ইতিমধ্যে বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও আমার নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র দেখেছেন। তাতেও তিনি কোন অনিয়ম পাননি। এমতাবস্থায় আমি একজন নারী হওয়ায়, ব্যাক্তিগত ক্ষোভ, পদ প্রত্যাশী ও একটি চক্র তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে আমাকে হয়রানি করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছে। ঐ দিন সাংবাদিকদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরণের মধ্য দিয়ে টিফিন এর সময় তাদের বলে দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য মাদ্রাসার পাশে একটি বাড়িতে যাই। তাদেরকেও মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট বাজারে দুপুরের খাবার জন্য বলি। আমি নামাজ শেষে খাবার দোকানে গিয়ে দেখি তারা ইতিমধ্যেই চলে গেছেন। তারা যে সকল তথ্য চেয়েছে তা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কারনে উর্দ্ধতর্ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত প্রদান করা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। তাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তারা যে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছে তার বিষয়ে আমাদের মাদ্রাসা বোর্ডের সাথে যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করছি। অনুমতি পেলে তথ্য সমূহ প্রদানে আমাদের কোন আপত্তি নেই। পাশাপাশি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কোন নিয়োগ দেওয়া হয় নি। যারা এ বিষয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।