নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুন্ডা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রকিব মিয়া ও তার পরিবার। একইসঙ্গে মামলা প্রত্যাহার ও হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানান তারা।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ২টায় নাসিরনগর সদরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রকিব মিয়া অভিযোগ করেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও কুন্ডা ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সামছু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে তার ওপর চাঁদার দাবিতে ভয়ভীতি ও নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি জমি কেনাকে কেন্দ্র করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সামছু মিয়া। টাকা না দেওয়ায় গত ১৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে সামছুর নেতৃত্বে রইছ মিয়া, শামদানী, এখলাছ, জুনায়েদসহ কয়েকজন সশস্ত্রভাবে তার ও পরিবারের ওপর হামলা চালায়। হামলায় রকিব মিয়ার হাত ভেঙে যায় এবং তার মা ও ভাইরাও আহত হন।
তিনি আরও বলেন, হামলার পর উল্টো তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করা হয় এবং পরিকল্পিতভাবে তাকে ও বিএনপিকে বিতর্কিত করতে একপক্ষীয় সংবাদ পরিবেশন করানো হয়েছে। তিনি এই মামলার দ্রুত প্রত্যাহার এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মামলার বাদী রইছ মিয়া জানান, রকিব মিয়া তার ছেলের কাছে টাকা দাবি করেছিলেন এবং না দেওয়ায় হুমকি দেন। একপর্যায়ে তার ছেলেকে মারধর করে আহত করা হয়, যার ফলে তিনি বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে তার ছেলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি ও খোঁজ নিয়ে জেনেছি এটি মূলত পারিবারিক বিরোধ থেকে সৃষ্ট ঘটনা। এখানে চাঁদাবাজির কোনো প্রমাণ পাইনি। এটি দলীয় কোনো বিষয় নয়।”
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।