দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: দেবহাটায় এক পরিবারকে সরকারি জমি থেকে উচ্ছেদ করার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। গত (২৮ মার্চ) দেবহাটা খাল চর এলাকার বর্তমান বাসিন্দা অহেদ আলী সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৩) বাদি হয়ে এ চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেন। এতে দেবহাটা সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য বিজিবি হত্যা, মাদক সহ বিভিন্ন মামলার চার্জশিট ভূক্ত আসামি আরমান হোসেনকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দেবহাটা সদরের খাল চরের সরকারী খাস জমিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে আমাদেরকে উক্ত খাস জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য হুমকী দিতে থাকে সাবেক মেম্বর আরমান সহ তার বাহিনীর সদস্যরা। এমনকি ওই জমিতে থাকতে হলে তাদেরকে মাঝে মধ্যে চাঁদার টাকা দিতে হবে। চাঁদার টাকা না দিলে সেখানে থাকা যাবে না। তারই অংশ হিসাবে গত (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে আমাদের বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে এবং আমাদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। আমরা বহু অনুনয় বিনয় করলে তারা ৫০ হাজার টাকার দাবি করেন। কিন্তু আমার পক্ষে এই টাকা দেওয়া সম্ভব না বলে জানালে আরমানের নির্দেশে তার সহযোগীরা আমাকে লাথি, চড়, কিল, ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জোর করে নিয়ে নেয়। একই সাথে ১৫ দিনের মধ্যে ওই ৪৫ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা। এঘটনায় আমি বাদি হয়ে দেবহাটায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
এ মামলার এজাহারে সাবেক ইউপি সদস্য আরমান হোসেন (৪২) কে প্রধান আসামি, দেবহাটা গ্রামের মৃত আনছার আলী গাজীর ছেলে কবির হোসেন (৩৮) কে ২য় আসামি, একই এলাকার ফজর আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৪৫) কে ৩য় আসামি, জামাত আলী গাজীর ছেলে আনারুল ইসলাম (৪০) কে ৪র্থ আসামি এবং মৃত মোবারক আলী সরদারের ছেলে রবিউল ইসলামকে ৫ম আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে চলতি মাসের গত ২৮ তারিখে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এঘটনায় অভিযান চালিয়ে রবিবার (৩১ মার্চ) মামলার এজাহারভূক্ত ৩ নম্বর আসামী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং-০৮। এ মামলায় একজন আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।