পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সৌন্দর্য বর্ধক ও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করা বোম্বাই জাতের একটি বাঁশঝাড় সম্পূর্ণ উধাও হয়ে গেছে। জেলার তেতুলিয়া উপজেলার মাগুরা গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় সাধারণ মানুষসহ দর্শনার্থীদের মনে। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সবাই যখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সেই সুযোগে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রেজাউল ইসলাম ও তার ছেলে মোঃ রানা বাঁশগুলো কর্তন করে বিক্রি করে। স্থানীয়রা জানান, বাইরে থেকে যত পর্যটক তেতুলিয়ায় ঘুরতে আসে তারা এই বাঁশ ঝড়ের কাছে এসে ছবি তুলে। বোম্বাই জাতের এই বাঁশগুলো অন্যান্য বাঁশের তুলনায় মোটা ও উঁচু হওয়ায় সহজে সবাইকে আকৃষ্ট করে। এই বাসগুলো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে ছুটে আসে। পাকা রাস্তার পাশে সরকারি জমির উপর এই বাঁশঝাড়। যে বাঁশগুলো কর্তন করেছে সে খুবই অন্যায় করেছে। সে চাইলে ব্যবহারের জন্য পরিপক্ক কিছু বাঁশ কর্তন করতে পারত। কিন্তু তা না করে পুরো বাঁশঝাড় উধাও করে দিয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে টিনের বেড়া দিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। বাঁশঝাড় কর্তনের সত্যতা স্বীকার করে মোঃ রানা ইসলাম বলেন, বাঁশঝাড় আমরা লাগিয়েছিলাম। ঝড়ের সময় উল্টে যেতে পারে। তাই কেটে বিক্রি করেছি। এ বিষয়ে তেতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। আজকে সারেজমিনে যাব। জায়গাটি এক নং খাস খতিয়ানভুক্ত অথবা জেলা পরিষদ মালিকানাধীন তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে জেলা পরিষদ উচ্চমান সহকারী নুরুল আমিন বলেন, আমরা বিষয়টি জানতাম না। দ্রুত খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাঁশঝাড়ের যে অবশিষ্ট গড়া অংশগুলো রয়েছে তার চার পাশে প্রাচীর দিয়ে পুনরায় বাঁশঝাড় করার পাশাপাশি যেই ব্যক্তি নির্দয় ভাবে এই বাঁশঝাড় কর্তন করেছে তার বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী করেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ সহ দর্শনার্থীরা।