আব্দুল্লাহ আল মারুফ (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে রাতের আধাঁরে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার কালে সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভারতীয় চিনি ও আনার আটক করে লাউড়েরগড় সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা।
আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের সীমান্ত নদী যাদুকাটা থেকে ১০২৫০ কেজি ভারতীয় চিনি এবং ৫৭৫ কেজি ভারতীয় আনার আটক করে।
বুধবার দুপুরে সংবাদকে এর সত্যতা নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক এ কে এম জাকারিয়া কাদির তিনি বলেন, সীমান্তে চোরাচালান জিরো টলারেন্স আনতে বিজিবি সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সীমান্তে বিজিবি অভিযান চালিয়ে প্রতিদিনই লাখ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য আটক করেছে। আর বিজিবির এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি সূত্রে জানাযায়, তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্তে ১২০৩ সীমান্ত পিলার এলাকার যাদুকাটা নদী ও ১২০৪ পিলার এলাকার দশঘর ভাঙ্গা এবং ১২০৫ পিলার এলাকার বাউল্লা হাটি দিয়ে গতকাল রাতের বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় একটি চোরাচালানকারী চক্র চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় চিনি ও আনার চোরাই পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে নৌকা যোগে পাচার করার জন্য বিন্নাকুলী এলাকার যাদুকাটা নদীর পাড় মজুদ রাখে। এমনি একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লাউড়েরগড় সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১০২৫০ কেজি ভারতীয় চিনি যার মূল্য ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ৫৭৫ কেজি ভারতীয় আনার যার মূল্য ২ লাখ ১ হাজার ২৫০ টাকার মালামাল আটক করে। এ সময় বিজিবির উপস্তিতির টের পেয়ে চোরাকারবারিরা চিনির বস্তা ও আনার রেখে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় একজন চোরাকারবারি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিজিবি সোর্স শহিদ, নুরু, জজ মিয়া, জসিম মিয়া ও বাইজিদসহ ৮ জনের একটি সোর্স গ্রুপ বিজিবির সাথে কথা বলে আমাদের লাইন দিয়েছে। আর এর জন্য প্রতি চিনি বস্তা থেকে ১৫০ টাকা করে চাদাঁ নিয়ে বিজিবির সোর্সদের প্রধান শহিদ, নুরু, জজ মিয়, জসিম মিয়া ও বাইজিদ। আমরা চুরি করে মালামাল আনলেও তারা বিজিবির সোর্স পরিচয়ে আমাদের কাছ থেকে বিজিবির কথা বলে টাকা নেয়। আমরা জানি বিজিবি কোন টাকা খায় না। তারা বিজিবির নামে কিসের টাকা নেয়। বিজিবি টাকা খাইলে মাল ধরত না। তাদের টাকা না দিলে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়।
এ ব্যাপারে সোর্স পরিচয়ধারী প্রধান শহিদ মিয়া চাদাঁ নেয়ার বিষয়টি শিকার করে বলেন, আমার বিজিবির সোর্স হয়ে কাজ করি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে। তবে ফুচকা, চিনি আনলে আমাদের করছে টাকা যাই দেয়। তাই আমরা নেই।