রুপুসহ ০৯ প্রকল্পে শেখ হাসিনা পরিবারের ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি তদন্ত করছে দুদক। পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ দল এই তদন্ত পরিচালনা করছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে ‘শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আরো নানা অভিযোগ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে বলা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক মিলে অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে প্রকল্প থেকে প্রায় ১২৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ৫ বিলিয়ন আত্মসাৎ করেছেন। সে অর্থ মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পাচার করেছেন তারা।

টিউলিফ সিদ্দিকের চাচা তারিক আহমেদ সিদ্দিক ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তার স্ত্রী ও মেয়ে প্রচ্ছয়া লিমিটেড নামে একটি ভুয়া কোম্পানির অংশীদার। দুদকের বিবৃতিতে বলা হয় এই কোম্পানি এবং আরেকটি বিতর্কিত কোম্পানি ডেস্টনি গ্রুপের মাধ্যমে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে পাচার করা হয়। এ অর্থ দিয়ে যুক্তরাজ্যে জুমানা ইনভেস্টমেন্ট এন্ড প্রপার্টি লিমিটেড নামে কোম্পানি খোলা হয়।

রাশিয়ার কাছ থেকে ৪০০কোটি পাউন্ড ঘুষ নেয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে। রোববার রাতে লন্ডনে টিউলিপের কার্যালয়ে যান ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার ন্যায় ও নৈতিকতা বিষয়ক বিভাগের সদস্যরা। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বনাম রিজভী আহমেদ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম প্রথমবার অর্থপাচারে সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসে। পরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে জয়ের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্তে উঠে এসেছে হংকং ও কেইম্যান আইল্যান্ডস এর বিভিন্ন একাউন্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্ক এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অর্থ স্থানান্তরিত করা হয়। মার্কিন বিচার বিভাগের সিনিয়র অ্যাটর্নি লিন্ডা স্যামুয়েলস এবং স্পেশাল এজেন্ট লাভরেবট ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরের প্রমাণ পেয়েছেন।

দুদকের বিশেষ তদন্ত দল নির্বাচন এবং পাসপোর্ট বিভাগ থেকে প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিদেশী ব্যাংক একাউন্টের নথি ও বিবরণ চেয়ে পাঠানো হয়েছে একটি বিশেষ অনুরোধপত্র।