ক্রাইম রিপোর্টার:
গত ১৫-০৩-২০২৫ তারিখে রোজ শনিবার ইসলামপুর উপজেলার যুগ্ন আহবায়ক হামিদুর রহমান মলিন শেরপুর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে তার নিজ বাড়ি থেকে রওনা দিলে গাইবান্ধা পোড়াবাড়ি মোরে ইসলামপুর থানার ওসি সাইফুল্লাহ সাইফের সাথে দেখা হয় তখন বেলা আনুমানিক ৪টা। তখন তারা দুজনে পোড়াবাড়ি মোড়ে এক বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলে। ওসি সাহেব আওয়ামী লীগের ধূসরদের গ্রেফতার করার জন্য ইসলামপুর উপজেলার যুগ্ন আহবায়ক মলিন সাহেবের কাছে সহযোগিতা চাই। ওসি সাহেব বললেন ১১ নং চরপুটিমারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুরুজ মাস্টার ও সভাপতি মোস্তাক এবং কি দেলোয়ার হোসেনকে কিভাবে গ্রেফতার করতে পারি এই বিষয়ে আপনি আমাকে সহযোগিতা করবেন। তখন মলিন সাহেব ওসি সাহেবকে বলেন যে আমি ঢাকাতে থাকি আমি কিভাবে ওদেরকে ধরার জন্য আপনাকে সহযোগিতা করব আপনি আপনার ফোর্সদেরকে সতর্কতা থাকতে বলেন। তখন ওসি সাহেব বলেন ঠিক আছে আপনি ঢাকা থাকেন আপনার লোকজন তো আছে আপনি যেকোন একজনের মাধ্যমে আমাদেরকে লোকেশন দেওয়ার সুযোগ করে দেন।
ওসি সাহেবের কথার ভিত্তিতে ১১ নং চরপুটিমারি যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আনিছ ও ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি বিল্লাল হোসেনের ফোন নাম্বার ওসি সাহেবকে দেয়। এবং কি মলিন সাহেব বললেন আপনি এই দুইজনের সাথে যোগাযোগ রাখলে সুরুজ চেয়ারম্যান, মুস্তাক ও দেলোয়ার কে গ্রেফতার করতে পারবেন।
এই কথা বলে ইসলামপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক হামিদুর রহমান মলিন ঢাকায় চলে যান। পরবর্তীতে এই বিষয়ে ওসি সাহেবের সাথে মলিন সাহেবের আর কোন যোগাযোগ বা কথাবার্তা হয় নাই।
ঠিক তার একদিন পর ১১ নং চরপুটিমারি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আনিছুর রহমান রাতে ইসলামপুর থানার ওসি সাহেবকে ফোনে জানান যে চেয়ারম্যান সুরুজ মাস্টার মুস্তাক ও দেলোয়ার হোসেন তারা তিন জনেই নিজ বাড়িতে শুয়ে আছে। আনিছের লোকেশনের ভিত্তিতে ওসি সাহেব তখন ডিগ্রীচর ফাঁড়ি (থানার) এস আই শামছুকে রাতে আনিছের কাছে পাঠান। আনিছ তখন তাদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ আপ্যায়ন করেন। এবং কি বলেন যে আসামিরা তাদের নিজ বাড়িতেই শুয়ে আছে।
এসআই সামছু চেয়ারম্যান সুরুজ মাস্টার মুস্তাক ও দেলোয়ার হোসেন তিনজনের একজনকেও গ্রেফতার না করে আনিছের বাবা আব্দুল খালেক কে গ্রেফতার করে নিয়ে চলে আসেন।
বিষয়টা আনিছ ইসলামপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক হামিদুর রহমান মলিনকে ফোনে জানান যে ভাই আসামিদের একজন কেউ গ্রেফতার না করে আমার বাবাকে গ্রেফতার করে নিয়ে চলে গেছে আর আসামিরা তাদের নিজ বাড়িতেই শুয়ে আছে।
আনিছের কাছ থেকে তার বাবার গ্রেফতারের বিষয়টা জানার পর মলিন সাহেব এসআই শামছু কে ফোন দিলে এসআই সামছু বললেন যে আপনি ওসি স্যার এর সাথে কথা বলেন।
তখন মলিন সাহেব ওসি সাহেব কে ফোন দিয়ে বলেন যে আপনার তো গ্রেফতার করার কথা ছিল চেয়ারম্যান সুরুজ মাস্টারকে মুস্তাককে এবং কি দেলোয়ার হোসেন কে।
আপনি কেন? আব্দুল খালেক কে অর্থাৎ আনিছুর রহমানের বাবাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসলেন। ওসি জবাবে বলেন যে আব্দুল খালেক এর নামে থানায় মামলা আছে উনি কৃষক লীগের সভাপতি।
তখন মলিন সাহেব ওসি সাহেবকে বলেন যে আপনি চেয়ারম্যান সুরুজ মাস্টার মুস্তাক ও দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে কত টাকা ঘুষ খাইছেন।
ঘুষের কথা বলার কারণে ওসি সাহেব বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের কে মুঠোফোনে জানান যে যুবদলের নেতা মলিন আমাকে হুমকি দিয়েছে আওয়ামী লীগের আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য যদি না ছেড়ে দেয় তাহলে ২৪ ঘন্টার ভিতরে আমাকে এখান থেকে বদলি করে দিবে। ওসি সাহেবের এই বক্তব্য বিভিন্ন চ্যানেল ও মাল্টিমিডিয়ায় প্রকাশ হয়।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় যে হামিদুর রহমান মলিন এ ধরনের কোন ব্যক্তি নয় সারা ইসলামপুর উপজেলাতে হামিদুর রহমান মলিনএর অনেক সুনাম রয়েছে। উনি সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকেন শুধু তাই নয় উনি বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় ওনার নিজস্ব ব্যবসার তফিল থেকে নিজ খরচে উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকেন এরকম একজন সৎ এবং সমাজের উন্নয়নের আইডল মানুষের নামে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন নিউজ করাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তীব্রনিন্দা প্রতিবাদ জানাই।