মোঃ রেজাউল করিম খান. সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের ১৪৯ নং পার পাঁচিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালে স্কুলের বড় একটি জামগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পার পাঁচিল মাঠ কমিটির সভাপতি রশিদ মাস্টার ও অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাস্টার এর বিরুদ্ধে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) খুব সকালে স্কুল বন্ধ থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আনুমানিক প্রায় ২০ হাজার টাকার মূল্যের একটি জামগাছ গাছ কেটে ফেলে। সরজমিনে পরিদর্শনকালে জাম গাছ কাটার উদ্দেশ্যে বেশকিছু ডালপালা কাটার সততা মেলে। সাংবাদিকদের উপস্থিতিটের পেয়ে গাছ কাটা বাদ রেখে সটকে পড়েন ঈদগাঁ মাঠ কমিটির লোকজন। তবে ঈদগাঁ মাঠ কমিটির অর্থ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম মাস্টারের ছোট ভাই শুভ সংবাদ প্রচার করতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, গাছ যেটুকু কাটা হয়েছে আমি ভাইকে বলে বন্ধ করার ব্যবস্থা করছি। পরবর্তীতে গাছ কাটতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই গাছ কর্তন করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, ছোনগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রশিদ মাস্টার ও নজরুল মাস্টার এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় যা খুশি তাই করে বেড়ান, বর্তমান জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার যেখানে গাছ বেশি বেশি করে লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন, এসময়ে সেখানে তারা গাছ বিক্রি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় এনে চরম শাস্তি কামনা করছি। পারপাচিল ঈদগাঁ মাঠ কমিটির লোকজন কোনো রকম সরকারি নীতিমালা না মেনে অবৈধভাবে আগেও গাছ বিক্রি করেছে, কিছুতেই বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করার লোভ সামলাতে পারছে না কমিটির লোকজন। তবে আনুমানিক মূল্য ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দামের গাছ বেশি টাকা বিক্রি হলেও বাস্তবে দেখানো হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকা। গাছ ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস জানান, পার পাচিঁল ঈদগা মাঠ কমিটির লোকজন মিটিং করে আমার কাছে গাছটি বিক্রি করেছে আমার কোন দোষ নেই। ছোনগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম আমার কাছে থেকে গাছটির জন্য ৫ হাজার টাকা নিয়েছে। তাই আমি গাছটি কাটছি। মাঠ কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ মাস্টার বলেন, আমি গাছ বিক্রির বিষয়ে কোন কিছু জানিনা। স্কুলের বিষয় কোন দিনও জাইও নাই। আমার বিরুদ্ধে সবাই মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। পার পাঁচিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরিয়ম খাতুন বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ৩০ শত জায়গা রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঈদগা মাঠ কমিটির লোকজন বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থিত বড় একটি গাছ আমাকে না জানিয়ে বিক্রি করেছে। বিষয়টি আমি কিছুই জানিনা। আমি এসে দেখি গাছ কর্তন করার উদ্দেশ্যে বেশকিছু ডালপালা কেটেছে। আপনারা চলে আশায় গাছ কাটা বন্ধ করে চলে গেল। ছোনগাছা ক্লাসটারের উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অরুণ কুমার দেবনাথ বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু ডালপালা কর্তন করেছে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি তার নির্দেশনা পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষর অনুমতি না নিয়ে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তন ও বিক্রির কোন সুযোগ নেই। কেউ এই অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।