ইমান আলী, স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, ২৫ মার্চ : “গণহত্যা চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে না পেরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে পালাতে হয়েছে”— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার পিলখানায় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এবং ছাত্রদের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা করেছে। সেই অন্যায়ের প্রতিবাদেই দেশের ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ রাজপথে নেমে আসে। একপর্যায়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।”
তিনি এসব কথা বলেন মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনের ওয়েস্টন রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্রগঠনে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে।
সেলিমা রহমান বলেন, “শুধু শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেই হবে না, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। এজন্য দেশের সকল দেশপ্রেমিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ৯০-এর গণআন্দোলনের মতোই ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ফ্যাসিবাদ পতনের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।”
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তে লেখা বিজয় কোনোভাবে নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। এই অর্জনকে বিপথে নিতে একশ্রেণির অপশক্তি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আমাদের আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন-জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া,
এডভোকেট বোরহান উদ্দিন, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন,
আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান, বিডিপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, পিআরপি মহাসচিব রাজা রহমান।
লেবার পার্টির পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন-ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, এডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই, হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদি, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, দফতর সম্পাদক মোঃ মিরাজ খান, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ, শহীদদের মাগফিরাত এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সাহস ও সফলতার জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।