সোহাগ চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: রাজারহাট উপজেলার মনারকুটি গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী শিরিনা বেগমের সিজারের মাধ্যমে গত ২৩ মার্চ ২০২৪ একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তার স্বামী খোঁজ-খবর না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে সিজারের টাকা পরিশোধের জন্য তার একমাত্র নবজাতক সন্তানকে গত ২৬ মার্চ ২০২৪ অজ্ঞাত স্থানে বিক্রি করে দেয়ার কথাবার্তা চুড়ান্ত হয়। বিষয়টি নবজাতকের বাবা হাবিবুর রহমান জানতে পেরে ২ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নবজাতক সন্তানকে ফিরিয়ে পাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে উলিপুর থানায় অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিকভাবে উলিপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম দ্রুত গোপন সংবাদ সংগ্রহের মাধ্যমে জানতে পারে রাজারহাট থানাধীন নাজিমখাঁন ইউনিয়নের রাম শিং মুন্সি পাড়াস্থ পারভীন আক্তার (৩০) তার ভাগনি নিঃসন্তান মোছাঃ সেলিনা বেগম দম্পত্তির কাছে এক লক্ষ টাকায় নবজাতক শিশুকে কিনে নেন। অবশেষে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে নবজাতকে উদ্ধার করে তার প্রকৃত জন্মদাতা পিতা-মাতার কাছে বিক্রি হওয়া নবজাতকে প্রদান করেছে। এ সময় পারভিন বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অন্য দিকে সন্তানকে ফিরে পেয়ে পিতা মাতা দাদী ফুফাসহ পরিবারে আনন্দ বিরাজ করছে। সন্তানকে পেয়ে উলিপুর থানা পুলিশের প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নবজাতকের পরিবারের সকল সদস্য বৃন্দ ।