আমীনুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী শিশুসহ দশজন আহত হয়েছে। রবিবার ২১ এপ্রিল দুপুরে উপজেলা সদরের পানিমাছকুটি ও পাশ্ববর্তী চন্দ্রখানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন না থাকায় আহতদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতরা হলেন, পানিমাছকুটি গ্রামের জালাল উদ্দীন (৩৫) মীম (১০) মুবিন (৪) নুরনাহার (৩৫) মোহাম্মদ আলী (১৪) আশিক (৮) এবং চন্দ্রখানা গ্রামের তৈয়ব আলী (৭০) এবং আনছার আলী (৫০) অজ্ঞাত আরও দুইজন। আহতরা সকলেই ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল বেলা ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে একটি কুকুর উপজেলার পানিমাছকুটি গ্রামে প্রবেশ করে। কুকুরটির মুখ দিয়ে লালা পড়ছিল। পথচারীদের দু- একজন কুকুরটিকে দেখে পাগলা কুকুর, পাগলা কুকুর বলে চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই কুকুর টি যাকে সামনে পায় তাকেই কামড়াতে শুরু করে। পরে লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে ধাওয়া করলে উপজেলার ব্র্যাক মোড় হয়ে চন্দ্রখানা কদমতলা অভিমুখে যাওয়ার সময় কুকুরটি পশ্চিম পানিমাছকুটি কাশিয়াবাড়ী গ্রামের হাছেন বাবুর্চীর দুইটি গরুকে কামড়িয়ে আহত করে। এরপর কিছুদুর গিয়ে চন্দ্রখানা কদমতলা এলাকায় কয়েকজনকে কামড় দিলে লোকজন ঘেরাও করে পিটিয়ে কুকুরটিকে মেরে ফেলেন। ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম, আয়নাল হক বলেন, পাগলা কুকুরটি এই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি বেওয়ারিশ কুকুরকেও কামড়িয়েছে। এখনতো সেগুলোও পাগল হয়ে মানুষসহ গরু- ছাগলকে কামড় দিবে। এ নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি,এবং এলাকায় জলাতঙ্ক রোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে । ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সুমন কান্তি সাহা জানান, পাগলা কুকুরের কামড়ে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আমাদের হাসপাতালে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন সরবরাহ নাই। তাই তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে জেলা সদরে গিয়ে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।