আমীনুল ইসলামঃ মেলাটির নামটি কে দিয়েছিল কেউ সঠিকভাবে বলতে পারে না? তফন চক্রবর্তী বলেন এক সময় কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চেংরার মেলা বা রসুনের মেলায় বাবার হাত ধরে যেতাম। আজকে মেয়ের হাত ধরে কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চেংরার মেলা বা রসুনের মেলায় আসলাম এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম। কত স্মৃতি সে-ই সময়ের মেলা ছিলো উৎসব আমাদের কাছে। সেই মাটির হাতি ঘোরা বাঁশী এক টাকার চশমা দুই টাকার ঘাড়ি মুড়ি মুড়কি বাতাস জিলাপি পুতুল নাচ। নকশা হাঁড়ি আরো অনেক কিছু দেখার মতো মেয়েদের কাঁচের চুড়ি ফিতা টিপ। আগের সেই মেলাটি আর নেই কেউ হয়তোবা বলতে পারবে এভাবে । তবে ঠিকই আছে মেলার নিয়ম তেমন কোন ভীড় নেই সেই মানুষের। অথচ আমাদের সময় হাফ স্কুল হতো মেলার কারনে। যুগের কারনে এসব হারিয়ে গেছে। মেয়ে বললো বাবা এটা কেমন মেলা ডুকতে টিকিট লাগেনা। কোন বড় বড় দোকান নেই ।নেই কোন জামা কাপড়ের দোকান কোন কিছু নাই। আমি বললাম মা এটা গ্ৰামীন জন পথের মেলা। এই মেলার একটা প্রান আছে। মেলা হচ্ছে আমাদের সাংস্কৃতিকর অংশ এটা মেনে হারিয়ে না যায় তবে লোকজন কম হলেও কালের রীতিনীতি হিসেবে প্রতি বছর এ সময়ে হয়ে আসছে।