রাজনৈতিক ডেস্ক.
গত আগস্টে ফ্যাসিবাদী সরকারের উৎখাত হলেও চারদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা এখনো বিরাজমান। ছাত্রজনতার তোপের মুখে স্বৈরাচারী সরকার উৎখাত হলেও এর গভীর শেকর রয়ে গেছে দেশের অভ্যন্তরে। আর এই শেকরের ইঙ্গিত দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। জা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমত আলোচনার ঝড় বয়েছে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহবুজ আলমের ফেসবুক পোস্ট। তার পোস্টে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, ফ্যাসিবেদী শক্তির উত্থান এবং জুলাই গণহত্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। এ পোস্ট নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনা শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। গতকাল ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন।
পোস্টে তিনি বলেন, “জুলাই গণহত্যার খুনিদের আমরা চিনি। কিন্তু গণহত্যায় জড়িত ফ্যাসিবাদের দালাল ও দোসররা কোথায় আছেন? তাদের ঘৃণা করুন। তাদের চক্রান্ত রুখে দিন।” এমন আহ্বান জানিয়েছেন তিনি দেশবাসীর প্রতি।
তিনি আরো বলেন, ফেসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলুন এবং আইনগত শাস্তির আওতায় আনতে সরকারের সহযোগিতা করুন।
মাহফুজ আলমের এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে তার ফ্যাসিবাদী পুনরুজ্জীবন এবং জুলাই বিরোধী শক্তি বিষয়ে মন্তব্যের পর থেকে সারাদেশে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি তিনি আরো এক ফেসবুক পোস্টে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন জুলাই গণঅভুত্থান ছিল দেশের সব স্তরের মানুষের এক সমন্বিত মিলনমেলা। কিন্তু এখন দেশে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি তার চেহারা বদলেছে এবং আবারো সক্রিয় হতে চায়।
তিনি সতর্ক করে আরো বলেন, দেশবাসীকে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। পুরাতন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সামাজিক ফ্যাসিবাদ এবং সেকুলারিজম শক্তির ভন্ডামি উন্মোচন করতে হবে।
এদিকে মাহফুজ আলম সরকারের সাফল্য নিয়েও কথা বলেন, তিনি দাবি করেন এ সরকার ১৫০ টিরও বেশি আন্দোলন মোকাবিলা করেছে এবং ধ্বংস হয়ে যাওয়া অর্থনীতিকে পুনরায় জিন্দা করেছে।
তিনি আরো বলেন, যতদিন না জনগণের ন্যাজ্য দাবি পূর্ণ হবে, ততদিন আমরা কাজ করতে থাকবো।
তবে তার এই পোস্টটি নিয়ে দেশব্যাপী রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ এটি দেশের ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক বার্তা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মনে করছেন এটি কিছু রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে সংকেত বা ইঙ্গিত।