রাকিবুল হাসান, সাতক্ষীরা শ্যামনগর প্রতিনিধি
বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধস্ত নদীবেষ্টিত দ্বীপ ইউনিয়ন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা। এ ইউনিয়নটিতে সরকারের মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে উপকূলীয় এ অঞ্চলের জীবন-জীবিকার সুরক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এতে উপকূলীয় এ অঞ্চলে বসবাসকারীদের মধ্যে বইছে স্বস্তির হাওয়া।তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক ইউনিয়নটির ৯ নং সোরা, চাঁদনীমুখা, হরিশখালি ও ডুমুরিয়া সহ বেশ কিছু এলাকার বেড়িবাঁধের পাশে বসাবস করা হাজারো পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর এই পরিবারগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। তাঁরা বলছেন পরিবার নিয়ে কোথায় থাকবো আমরা?। পরিবারগুলোর দাবি তাঁদের মাথা গোজার ঠাঁই (আশ্রয়ের)।
সরজমিনে গাবুরার ৯ নং সোরা ও চাঁদনীমুখা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসকারীরা তাঁদের বসতি ঘর নিজেরাই ভেঙে ফেলছেন। এ সময় তাঁদের সাথে কথা হলে তাঁরা জানান, আমাদের বাপ দাদাদের পৈত্রিক সম্পত্তি না থাকায় আমরা বেড়িবাঁধের কোলে ঘর বেঁধে সারা জীবন বসত করে আসছি, হঠাৎ আমাদের এই ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা আমাদের ঘর ভেঙ্গে দিচ্ছে। এখন আমরা পরিবার নিয়ে গৃহহারা হয়ে গেছি। ছোট ছোট বাচ্চা ও পরিবার নিয়ে কোথায় থাকবো কিছু জানিনা।
৯নং সোরা গ্রামের ইয়াকুব শেখ বলেন, বাপ দাদার আমল থেকে বাস করে আসতেছি এই রাস্তার পাশে আজ আমাদের ঘর ভেঙে নিতে হচ্ছে, আমারা এখন কোথায় যাবো, এই সরকারি জায়গা ছাড়া নেই জমিজমা। সরকার যদি আমাদের জন্য ৯ নং সোরার চরে একটা গুচ্ছো গ্রাম করে দিতো তাহলে আমারা পরিবার নিয়ে সেখানে একটু থাকতি পারতাম।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম মাসুদুল আলম বলেন, ৯ নং সোরা নদীর চরে হাজার হাজার বিঘা জমি পড়ে আছে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি গাবুরা ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসকারীরা বাস্তুচ্যুত হওয়া এসব মানুষের কথা মাথায় রেখে একটি গুচ্ছোগ্রাম তৈরি করে দিত, তাহলে এই মানুষগুলো হয়তো মাথা গোজার ঠাঁই খুজে পেত।