আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাঁজায় ঢুকছে ইসরাইলি সেনারা বাড়ি ফেরার পথ খুঁজছে। হামাসের সামরিক শাখা আলকাসাম ব্রিগেড কোণ্ঠাসা করে ফেলেছে ইসরাইলি সেনাদের। ইসরাইলি সেনারা কখনো কল্পনাও করেনি এমন পরিস্থিতিতে পড়বে। গাজার প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে তাদের পরাস্থ হওয়ার দিন যেন আরো কাছাকাছি চলে এসেছে। আল কাসাম ব্রিগেডের একের পর এক আক্রমণে ইসরাইলি বাহিনী গাঁজা উপত্যকা আজ দিশেহারা তারা। ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের শক্তি প্রতি মুহূর্তে তাদের পতন ঠেকানোকে অসম্ভব করে তুলেছে। গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আলকাসাম ব্রিগেড এক শ্বাসরুদ্ধকর জটিল নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনা করেছে। এখানে আলকাসামের এক বীর যোদ্ধা ইসরাইলি সেনার পোশাক পড়ে ইসরাইলি শিবিরে ঢুকে পড়ে। এই সেনা ছয় জন সৈন্যের একটি দলকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। সেনারা আক্রমণের শিকার হয়। আর এই অভিযানটি শুধু একটি বাহিনীর উপর আক্রমণ নয় বরং প্রতিরোধের শক্তি ও সাহসের এক মহাকাব্যিক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। তবে এটি একেবারেই নতুন কৌশল নয়, গাঁজার প্রতিরোধ বেশিরভাগ আক্রমণই হিট এন্ড রান অ্যাটাক বা আইডি অ্যাম্বুশের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। কিন্তু আল কাসামের এই নতুন ধরনের অভিযানের মাধ্যমে তাদের শক্তি আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছে। আলকাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা জাবালিয়া শিবিরে স্নাইপারদের হত্যা করে তাদের অস্ত্র ও সরঞ্জাম দখল করে নিয়েছে। এরপর ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, যেটি ইসরাইলি সেনাদের জন্য এক বড় ধাক্কা হয়ে আসে। এই ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে যে গাঁজার প্রতিরোধ বাহিনী ইসরাইলকে একেবারে কোণ্ঠাসা করে ফেলেছে। আলকাসাম ব্রিগেড যেভাবে ইসরাইলি সেনাদের পরাস্থ করছে তা তাদের দক্ষতা এবং সাহসিকতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। এরপর পরই আলকাসাম ব্রিগেড খান ইউনিসে অবস্থিত ম্যাগেন সামরিক সাইটে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। একের পর এক অভিযানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী সাফল্য তুলে আনছে, আর সেই সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে ভয় এবং অস্থিরতা বেড়ে চলেছে। আল কুদস ব্রিগেডও তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে, তারা নেট জারিম অক্ষে ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে শক্তিশালী রকেট হামলা চালিয়েছে। এছাড়া গাজা শহরের ওপর একটি নজরদারী ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বিজয়ের গল্প লিখে চলেছে। আল মুজাহিদিন ব্রিগেড আল আকসা ব্রিগেড সহ অন্যান্য ব্রিগেডের সফল হামলা আর তাদের অভূতপূর্ব সামরিক কৌশল প্রমাণ করেছে ফিলিস্তিনিরা একদিন না একদিন তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে।