মোহাম্মদ শেখ ফরিদ, স্টাফ রিপোর্টার
পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় পাঁচজনকে আটক করেছে নীলফামারী ব্যাটেলিয়ন ৫৬ বিজিবি। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে তাদেরকে আটক করে ৫৬ বিজিবি এর অধীনস্থ ঘাগড়া বিওপির সদস্যরা। আটক ব্যক্তিরা হলেন, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলাধীন ডাবরী জীনেস্বরী গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথ রায় এর ছেলে গণেশ রায় (৪৩), গণেশ রায় এর স্ত্রী ববিতা রায় (৩৬) ও ছেলে দৃশ্য রায় (১০), মাহানপুর গ্রামের ভুট্টু রায় এর ছেলে দেবেন্দ্র রায় (২২), জতমুকুন্দুপুর গ্রামের মনি রায় এর ছেলে জয়ন্ত রায় (১৯) এবং মাহানপুর গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ রায় এর ছেলে রিপন রায় (১৯)। বিজিবি জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অনুপ্রবেশের সংবাদ পেয়ে, নীলফামারী ব্যাটালিয়ন ৫৬ বিজিবি এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা এএসসি এর নির্দেশনা অনুযায়ী পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন ঘাগড়া বিওপির একটি চৌকস অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ঘাগড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার গোয়ালপাড়া নামক স্থান দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সীমান্ত পিলার ৭৪৯/২০-এস হতে আনুমানিক ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন পুরুষ, একজন মহিলা ও এক শিশু রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানায়, ভারতে অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে দিনাজপুর জেলার দালাল চক্রকে নগদ এক লক্ষ টাকা প্রদান করে ওই দালাল চক্রের মাধ্যমে তারা ঘাগড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় এসেছে সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য। আটক ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন, নগদ আট হাজার টাকা এবং দশ আনা স্বর্ণের বিভিন্ন গহনা সহ তাদের পঞ্চগড় সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বিজিবি আরো জানায় এই দালাল চক্রকে আটক করার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এ বিষয় নীলফামারী ব্যাটালিয়ন ৫৬ বিজিবি এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা এএসসি বলেন, বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবি'র অভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। যে কোন মূল্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ৫৬ বিজিবি কঠোর নজরদারি নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুপ্রবেশ বন্ধে সদা প্রস্তুত রয়েছে। ৫৬ বিজিবি'র এমন কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বহির বিশ্বে আরো উজ্জ্বল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা।