রাবি প্রতিবেদক
আগামীবার থেকে ঢাবি এবং চবির মত বিভাগীয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃপক্ষ। বিভাগীয় পর্যায়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলো সাধারণত বিভাগগুলোতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে থাকে। এভাবে একের পর এক নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা নিলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর তিনদিনের জায়গায় ১০ থেকে ২০ দিন করে শুধু ভর্তি পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাজের চাপ এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটবে বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে, রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলছেন, তারা ছুটির দিনে পরীক্ষা নিবেন। তাই কোনো সমস্যা হবেনা। রাবির আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, যেসকল বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতি আছে, সেখানে এমনিতেই ক্লাস কম হয়। তারপর, আবার ১০-২০ দিন ধরে ভর্তি পরীক্ষা হলে তাদের জন্য চাপ হয়ে যাবে। পরীক্ষা ছুটির দিনে নিলেও ভর্তিচ্ছুরাতো ক্যাম্পাসে আসবে। তাদের অনেকের থাকার ব্যবস্থা করা লাগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেস বা হলের কক্ষে। এসময় গাড়ি ভাড়া এবং খবারের দামও বেড়ে যায়। সুতরাং, এই ভোগান্তিটা এতোদিন তিনিদিনের হলেও এখন থেকে হবে ১০-২০ দিন ধরে। গুচ্ছ পদ্ধতি তুলনামূলক ভালো। প্রয়োজনে স্বায়ত্তশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে একটা গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে পারে। একই ধরণের কথা বলেন রাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব। তিনি বলেন, পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ভোগান্তি কমানোর জন্যই বিভাগীয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে, এটাও ঠিক যে, এই পদ্ধতিতেও আরেকটা সমস্যার সৃষ্টি হবে। আসলে একেবারে আদর্শ কোনো পদ্ধতি এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা আরেকটা গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে পারে। এটাও একটা ভালো পয়েন্ট। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা আলাদা নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়৷ তারা কিভাবে পরীক্ষা নিবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তাদের আছে। এখানে আমার ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলার নেই। রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্তের মালিক একাডেমিক কাউন্সিল। কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আশা করছি যে, আগামীতে আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা নিবো। এখানে কারো ব্যাঘাত ঘটবেনা। কারণ পরীক্ষাগুলো আমরা নিবো ছুটির দিনে। ঢাবি এবং চবি ইতিমধ্যে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিচ্ছে। সুতরাং, এটা একটা পরীক্ষীত বিষয়। বিভাগীয় পর্যায়ের পরীক্ষাটি ঢাবি এবং চবির মত করেই হবে। চবি অবশ্য দুইদিনের পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার মধ্যে নিচ্ছে। তবে, আমরা ছুটির দিনে (শুক্র এবং শনিবার) নিবো। গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাওয়ার কোনো চিন্তা আপনাদের আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'না না। তবে, আমরা চেষ্টা করবো।'
তারিফুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়